১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| সকাল ৮:৩৯| হেমন্তকাল|
শিরোনাম:
কুমিল্লায় কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ কুমিল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে নগদ অর্থ ও কৃষি প্রণোদনা বিতরণ বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় খণ্ড-বিখন্ড ৭ অটো রিকশা যাত্রী;আহত ২ কুমিল্লায় সদর দক্ষিণের ইউএনও’র সাথে মোতায়াল্লী সমিতির মত বিনিময় বরুড়ায় UNO’র সাথে মোতায়াল্লী সমিতির মত বিনিময় মনোহরগঞ্জের মৈশাতুয়ায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান হবে- নাঙ্গলকোটে শিক্ষক সমাবেশে সেলিম ভূঁইয়া কুমিল্লায় জিয়া গবেষণা পরিষদ মহানগর শাখার উদ্যোগে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করুন-অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা ছিলেন সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে-বরকত উল্লাহ বুলু

হাটবাজার জুড়ে বিষাক্ত সুপারী; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি…Newscast24tv

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, এপ্রিল ৩, ২০২৩,
  • 113 Time View

দেবব্রত পাল বাপ্পী, লাকসাম।।

কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চল লাকসাম, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাট-বাজার জুড়ে বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত সুপারী ব্যবসা যত্রতত্র ভাবে জমে উঠেছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মারাত্মক ভাবে বাড়ছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জেলার দক্ষিনাঞ্চলের সবকটি উপজেলায় সাধারণ মানুষ এ সুপারী পন্যটি পান, চুনসহ মসল্লার সাথে কাঁচা কিংবা শুকনো সমানভাবেই খেয়ে থাকে। মানবদেহ চাঙ্গা রাখতে এ সুপারী প্রায় ৬ কাপ কপির সমান কার্যকর বলে অভিমত অনেকের। এ অঞ্চলের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মেহমান আপ্যায়ন, বিয়ে বাড়ীসহ নানাহ সামাজিক অনুষ্ঠানে এ সুপারী খেয়ে থাকেন। আবার এক শ্রেণির মানুষ এটিকে সাধারনতঃ দেখা হয় ভালোবাসার প্রতীক কিংবা মানব দেহের কিছুৃ কিছু রোগের প্রতিকার হিসাবেও ব্যবহার করে থাকেন।

স্থানীয় চিকিৎসকদের একাধিক সুত্র জানায়, প্রতিবছর এ অঞ্চলের মানুষ এ সুপারী খাওয়ার ফলে মানবদেহে নানাহ ভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে মুখে, গলায় ক্যান্সারসহ নানাহ জটিল রোগের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। এ সুপারীকে নীরব মরণ ঘাতক হিসাবে উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ। কারন হিসাবে এ সুপারীতে রয়েছে নিকোটিন, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইনের উপাদানের প্রভাব এবং আবেগ প্রবন মাদক হিসাবেও উল্লেখ করেন কেউ কেউ। যদিও সকল শ্রেণির মানুষ কেউ শখ করে কিংবা দৈনন্দিন তালিকা এবং পারিবারিক ঐতিহ্য হিসাবে এ পান-সুপারীকে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে কর্মক্ষম পুরুষ ও বৃদ্ধনারীদের মাঝে এর ব্যবহার বেশি। পাইকারী ও খুচরা দোকানীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচা সুপারী সংগ্রহ করে শুকিয়ে ফরমালিনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রন পানিতে ৪/৫ দিন ভিজিয়ে কিংবা পঁচা-কাদা মাটির গর্তে এবং মাটির পাতিল ও বড় ড্রামে ৮/১০ দিন ভিজিয়ে রেখে শুকিয়ে অবশেষে চিকন চিকন ভাবে কেটে মোটা অংকের লাভে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।
স্থানীয় ভুক্তভোগী লোকজন জানায়, ওইসব ব্যবসায়ীরা বিশেষ বিশেষ দিন কিংবা নানাহ অনুষ্ঠান ঘিরে গলাকাটা দামে বিক্রি করছে। কিন্তু এ সুপারীর অভ্যান্তরে কি আছে এবং এ ব্যবসার প্রসার কি ভাবে বাড়ছে তা কিন্তু কেহই জানে না। এ অঞ্চলে পারিবারিক ভাবে ছাড়া দৃশ্যমান কোন সুপারী বাগান নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলার হাট-বাজার থেকে নানাহ জাতের সুপারী সংগ্রহ করে থাকেন। দামের বেলায় পাইকারী ও খুচরার ক্ষেত্রে অনেক তফাৎ। খুচরা বাজারে কাঁচা সুপারী প্রতি ডজন ১২০/১৫০ টাকা এবং শুকনো সুপারী প্রতি কেজি ৩৫০/৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলতঃ এ পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে কার কি ভূমিকা কেউ কিন্তু খবর রাখেন না। এ দিকে হাট-বাজারগুলোতে চিকন-কাটা সুপারী আমদানীর মহোৎসব চলছে। সুপারীগুলো বিভিন্ন মহানগরীর শহরগুলোর কারখানা থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রণ হয়ে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এ অঞ্চলে বাজারজাত হচ্ছে।
এব্যাপারে জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তাদের মুটোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category