ডিমের হালি অর্ধশতক,ব্রয়লার মুরগী ডাবল সেঞ্চুরি প্রায়!
রথীন্দ্র রায় সোহাগ, কুমিল্লা
বেড়েই চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম।সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত,নিন্ম মধ্যবিত্ত সহ নিন্ম শ্রেনীর সকল মানুষ।সাধারন মানুষের সহজলভ্য খাবার ডিমের দাম প্রতি পিস রেকর্ড ১২.৫০টাকায়,অর্থাৎ হালি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
সরেজমিনে কুমিল্লা শহরের রাজগন্জ,চক বাজার,নিউমার্কেট, টমছমব্রিজ কাঁচা বাজারে ঘুরে দেখা যায়
চাল মিনিকেট খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৫-৭৮ টাকায়,নাজির শাইল কেজি ৭০ টাকা,আটাশ কেজি ৫৫ টাকা,পাইরি ৫০-৫২ টাকায় কেজি।
মটর ডাল ৭০টাকা,মুসুরি ডাল ছোট-১২০ এবং বড় -১০০ টাকা, মুগ ডাল-১০০-১২০টাকা কেজি।
সয়াবিন তেল খোলা এবং প্যাকেট জাত ১৮৫ টাকা লিটার,সরিষার তেল কেজি ২৪০ টাকা এবং লিটার ২২০ টাকা দরে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে।
মশলার মধ্যে পেঁয়াজ ৪০ টাকা, রসুন দেশি সাইজ ভেদে ৬০-৭০-৮০ টাকা,আদা দেশি ৭০ টাকা, চায়না ১২০ টাকা কেজি দরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা বাজারে দেখা যায় আলু ৩০ টাকা কেজি,টমেটো ১০০-১১০ টাকা, শশা ৪০-৫০ টাকা,করলা ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৮০-৩০০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
এবং মাংসের মধ্যে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম, যা এখন কেজিপ্রতি ১৮৫-১৯০ টাকা,সোনালী কক ২৮০ টাকা কেজি,লেয়ার মুরগী ২৮৫-২৯০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,
সাধারণত জীবন ধারনের জন্য যে সব খাবার না কিনলে নাই হয়,ঐসব জিনিসই বেশি কিনছেন।
রাজগন্জের বাসিন্দা সুমন সরকার বলেন,”হুটহাট করেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে,ঠিকমতো সংসার চালানোই দায়,ছেলেমেয়েদের মুখে যে ভালো কোনো খাবার যেমন ডিম,মাংশ এগুলোই এখন নাগালের বাইরে,কার কাছে কি বলবো,আমাদের কথা বুঝানোর মানুষ এই দেশে নাই”
চকবাজারের বাসিন্দা বেসরকারী চাকরিজীবি নুরুল আমিন বলেন,
“আগে তো মানুষে বলতো ডাল ভাত গরীবের খাবার,এখন দেশের ৮০% মানুষ এই ডাল ভাতের উপর নির্ভরশীল।হুটহাট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে এগুলো কি দেখার কেউ নেই..?”
আসলেই দেখার কেউ নেই।
যে সকল তরকারি, সবজি কৃষকের মাঠে সামান্য দামে বিক্রি করে কিংবা কৃষক নায্য দাম না পেয়ে পচিয়ে ফেলে এসব সবজি বাজারে খুচরা চওড়া মূল্যে কিনতে হয়।
হয়তো সব নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যেরও একই অবস্থা,
সিন্ডিকেট বলেন, মধ্যস্বত্ব ভোগী বলেন সকলেই এই শ্রেণির কাছে বন্দী।
গত ১০-১৫ বছরে তো এই দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নি,এবং তা ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে কিনা বা রাখা হবে কিনা কেউ বলতে পারে না।
দিন মজুর,শ্রমিক, কৃষক, ভাসমান মানুষ দিনদিন অসহায় হয়ে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষ এসব দ্রবমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ না নেয় তবে দেশের অর্থনীতি বিরাট হুমকির মুখে পড়বে।