প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বছরের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে এই ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। এ অবস্থায় খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
বুধবার আইইডিসিআর আয়োজিত ‘শীতের সংক্রামক রোগ এবং নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ’ শীর্ষক সম্মেলনে এই কথা জানানো হয়।
বর্তমানে কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া একটি ভাইরাল ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। অনেকেই উৎসাহ নিয়ে এটি পান করছেন এবং সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে অন্যদের জানান দিচ্ছিন। কিন্তু একবারও ভাবছেন না, কি হতে পারে এভাবে কাঁচা রস খেলে?
কাঁচা খেজুরের রস খেলে কি হতে পারে? নিপাহ ভাইরাস কি? এ সম্পর্কে তাই ধারণা থাকা জরুরী। আসুন জেনে নেওয়া যাক- ‘নিপাহ ভাইরাস’, যা অতি সহজেই বাদুড় জাতীয় তৃণভোজী প্রাণী থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। শুধুমাত্র বাদুড় নয়, নিপাহ শূকরের বর্জ্য থেকেও ছাড়াতে পারে। ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার “সুঙ্গাই নিপাহ” গ্রামে প্রথম এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়।
সেখানে বাড়ির পোষ্য কুকুর, বিড়াল, ঘোড়া, ছাগলের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ওই অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতেই শূকর প্রতিপালন হয়। গবেষণার পর দেখা যায়, শূকর থেকেই নিপাহ ভাইরাস ছাড়িয়েছে পোষ্যদের দেহে। ২০১৮ সালে পার্শ্ববর্তী ভারতের কেরালায় এই ভাইরাসের প্রকোপে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ভাইরাসটি আবিষ্কার করেন ড: কো বিং চুয়া।
বাংলাদেশেও মানবদেহে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে বহুবার। ২০০১ সালে দেশের উত্তর জনপদের সীমান্ত এলাকায় প্রথমবারের মতো নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।