আজ আমার জীবনের একটি ব্যক্তিগতভাবে কষ্টের দিন। মন চাইলেও বাস্তবতাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবুও আমি গভীর গর্বের সঙ্গে বলতে চাই—আমি একটি আদর্শিক, সংগ্রামী ও গণতান্ত্রিক দলের একজন কর্মী। কারণ দল আমার কাছে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে, দলই আমার রাজনৈতিক পরিচয়।
আমাদের প্রিয় নেতা, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, সেটিই আমার রাজনীতির একমাত্র পথনির্দেশক। তাঁর নেতৃত্বে আমি আস্থা রাখি, বিশ্বাস রাখি দলের ভবিষ্যতের ওপর। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—মনোনয়ন না পাওয়া মানেই পিছিয়ে যাওয়া নয়, বরং অনেক সময় এটি আত্মত্যাগের আরও বড় পরীক্ষার নাম। দলের জন্য ত্যাগই যে প্রকৃত শক্তি, সেটি আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।
আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই—আমি পদ-পদবির রাজনীতি করি না, আমি মানুষের রাজনীতি করি। ক্ষমতার মোহ নয়, জনগণের ভালোবাসাই আমার রাজনীতির মূল প্রেরণা। অতীতেও যেভাবে আপনাদের পাশে ছিলাম, সুখে-দুঃখে, হাসি-কান্নায়, বিপদে-আপদে—আগামীতেও ঠিক সেভাবেই আপনাদের পাশে থাকব। আমার অবস্থান বদলাতে পারে, কিন্তু আপনাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা কখনো বদলাবে না।
আন্দোলন-সংগ্রামে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে, মানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে আমি সবসময় সামনের কাতারেই থাকতে চাই। দলের পতাকা উঁচু করে ধরাই আমার দায়িত্ব, সেটাই আমার অঙ্গীকার। আমি বিশ্বাস করি, দলীয় শৃঙ্খলা, ঐক্য ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যই একজন প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মীর সবচেয়ে বড় পরিচয়—আর সেটিই আমার জীবনের অহংকার।
আমি সকল নেতাকর্মী, সমর্থক ও এলাকার সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই—আপনারা যে ভালোবাসা, আস্থা ও সমর্থন আমাকে দিয়েছেন, তা আমি কোনোদিন ভুলব না। আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আরও শক্ত করেছে, আরও দায়িত্বশীল করেছে। ইনশাআল্লাহ, দল ও দেশের যে কোনো প্রয়োজনে আমি অতীতের মতোই নিষ্ঠা, সততা ও সাহস নিয়ে পাশে থাকব।
ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়, সমষ্টিগত লক্ষ্যই আমাদের রাজনীতির উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্য অর্জনে বিএনপির পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা নিশ্চয়ই একদিন গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনব—এই বিশ্বাস নিয়েই আমি আমার পথচলা অব্যাহত রাখব।