রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি’র প্রার্থীর ছড়াছড়ি; মনোনয়নের চূড়ান্ত তালিকায় তরুণদের নাম
ফজলুল হক জয় ||
রাঙ্গুনিয়া উপজেলাটি চট্টগ্রাম-৭ সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত।এ আসনটি বরাবরই বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় প্রায় ডজন খানেক প্রার্থীর নাম রয়েছে।তন্মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন কমপক্ষে অর্ধ ডজন প্রার্থী।তারা হচ্ছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আহমেদ হাসনাত,বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী,চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী,রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন বাহার,রাঙ্গুনিয়া বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ও জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোটা: জসিম উদ্দিন এবং উত্তর জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ইউনুস চৌধুরী প্রমুখ।
তবে কোন ব্যতিক্রম না ঘটলে এই আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন তরুণ প্রার্থীদের যে কেউ। এ তালিকায় রয়েছে মাত্র তিনজনের নাম। আবু আহমেদ হাসনাত,হুম্মাম কাদের এবং মুরাদ চৌধুরী এই তিনজনের যে কোন একজনের নাম আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে বলে দলীয় হাইকমান্ডের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। মাঠের জনসম্পৃক্ততা, জনপ্রিয়তা অতীত আন্দোলন- সংগ্রামের ত্যাগ বিবেচনায় এবং স্থানীয় ভোটারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দল এই তিন তরুণ প্রার্থীর যে কারো উপরে ভরসা রাখতে চায় এইবার। এমনটিই জানা গেছে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে।
স্থানীয় সূত্র মতে,এখানকার অধিকতর প্রবীণ প্রার্থীগণের তুলনায় তরুণরা দলের জন্য বেশি কাজ করছেন।তারা বিভিন্ন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন জনগণের কাছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী বলেন,দলের জন্য কাজ করছি, দলের জন্য মাঠে আছি,তারেক রহমানের ৩১ দফার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।মুরাদ বলেন আমি কোন লোভিং,তদবিরে বিশ্বাসী নয়। জনগণই ঠিক করবে এ আসন থেকে মনোনয়ন কে পাওয়া উচিত।এবং যদি তাই হয় দল আমাকেই মনোনয়ন দেবেন ইনশাআল্লাহ। মুরাদ চৌধুরী আরো বলেন,আমি এক কথায় বলতে চাই আমি ধানের শীষের জন্য কাজ করছি। এ সময় তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন,নিশ্চয়ই দল তার যোগ্য এবং ডেডিকেটেড ক্যান্ডিডেট কেই বেছে নিবেন।
জানা গেছে,এ আসনে তরুণ নেতা হিসেবে খুবই প্রতিষ্ঠিত আবু আহমেদ হাসনাত।মনোনয়ন প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন,যোগ্য, জনবান্ধব এবং অভিজ্ঞ প্রার্থী যদি খোঁজা হয় ইনশাআল্লাহ সেটা হবো আমি।
চট্টগ্রাম-৭ আসনে হুম্মাম কাদের চৌধুরী এক পরিচিত ব্যক্তির নাম।তার বাবা সাবেক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিচারিক হত্যাকান্ডের শিকার। বিএনপি’র একটা অংশ মনে করেন এ আসন থেকে এবার তিনিই মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন।হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ত্যাগ এবং জনপ্রিয়তা বিবেচনায় দলীয় মনোনয়ন প্রদান করলে সে তালিকার শীর্ষে আমি থাকবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাঙ্গুনিয়ার অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন এই তিন তরুণ প্রার্থীর যে কাউকে মনোনয়ন দেয়া যেতে পারে তবে এর পূর্বে মার্কিং করে যে এগিয়ে থাকবে এবং মাটি ও মানুষের সাথে যার সম্পর্ক রয়েছে অর্থাৎ অধিকতর গ্রহণযোগ্য এবং নির্ভেজাল অবশ্যই দল তাকেই বেছে নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তারা।কারণ প্রার্থী সিলেকশনে ভুল করলে সামনের নির্বাচনে খেসারত গুনতে হতে পারে দলটির মতামত বিশ্লেষকদের।