দেবিদ্বারে নির্বাচনকে সামনে রেখে ফ্যাসিস্টের দোসরদের ঠাঁই হচ্ছে এনসিপি’র পতাকা তলে
ফজলুল হক জয় ||
দেবিদ্বারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফ্যাসিস্টের দোসরদের ঠাঁই হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র পতাকা তলে-এমন গুঞ্জন এখন সর্ব মহলে।
গেলে জুলাই মাসে হওয়া এনসিপি’র দেবিদ্বার উপজেলা (কুমিল্লা) সমন্বয় কমিটিতে স্থান পেয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক সক্রিয় কর্মী।এ বিষয়টি এখন নতুন করে সামনে এসেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। জানা গেছে,এ উপজেলার স্থানীয় এনসিপির নেতারা কেন্দ্রীয় এক নেতার যোগ সাজেসে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগিয়ে নিতে বিভিন্ন শর্তে তাদেরকে দলে ভিড়াচ্ছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।নাম প্রকাশ না করার শর্তে,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক নেতৃবৃন্দই বলছেন,যে উদ্দেশ্যে ৫ আগস্ট মৃত্যুর মুখে থেকে আন্দোলন করা হয়েছে, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়া হয়েছে সেই উদ্দেশ্যেই ব্যর্থ হতে যাচ্ছে।অনেকেই বলছেন, এন সি পি’র কেন্দ্রীয় নেতারা যারা ফ্যাসিস্ট রোধে কাজ করে যাচ্ছেন স্বয়ং তারাই ক্ষমতার লোভে তাদের ঘনিষ্ঠ দোসরদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন।তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র দেবিদ্বার উপজেলা কমিটি।
এ কমিটিতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রাজীব মুন্সির ঘনিষ্ঠ এক কর্মী আমির হোসেন এবং আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর আবুল বাশার সরকার সহ একাধিক আওয়ামী কর্মীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।যা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন,এটা নিঃসন্দেহে এনসিপির একটি অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত যা ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য একটি অশনি সংকেত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেবিদ্বারের সাধারণ অনেক ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ভোটের মাঠে এনসিপি শূন্য অবস্থায় রয়েছে সেজন্য তারা দিশেহারা হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা জুলাই শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানীর স্বরূপ,দেবিদ্বারের জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহকে কল দেওয়া হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।