চট্টগ্রাম-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে তৎপর ৫ প্রার্থী; আলোচনায় ৩
ফজলুল হক জয় ||
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এমন পাঁচজনের নাম উঠে আসলেও সরেজমিনে মাঠে তৎপরতা পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর ক্ষেত্রে।এ তিনজন প্রার্থী হচ্ছেন পেশাজীবী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা কাদের গনি চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর। স্থানীয় ভোটারদের মতামতের ভিত্তিতে উঠে আসে এমন তথ্য। সুত্রমতে,এ তিনজন বেশী আলোচনায় রয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে যে কেউ হতে পারেন এই আসন থেকে ধানের শীষের কান্ডারী। তাছাড়া এখানে মনোনয়ন দৌয়ে আরো রয়েছেন সাবেক বিচারপতি ফয়সাল ফয়েজী।সম্পর্কে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আমির খসরুর ভাগ্নে।ফটিকছড়িতে ফয়েজী একজন সহজ-সরল,মার্জিত এবং ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত।
এখানে কর্নেল আজিমুল্লাহ বাহারও মনোনয়ন পেতে মাঠের সক্রিয় আছেন বলে জানা যায়। তিনি ২০১৮ সালেও এ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে কাদের গণি চৌধুরী বলেন,ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ে এ দলের জন্য রাজপথে সংগ্রাম করেছি,টকশোতে কথা বলেছি, জীবন বাজি রেখে নড়েছি,যখন কেউ কথা বলার সাহস করেনি,তখনো কথা বলেছি-উদ্দেশ্য ছিল একটাই আমার দল বিএনপিকে সুসংগঠিত করা। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন,এসব বিবেচনায় দল আমাকেই মনোনয়ন দিবেন।দলীয় হাইকমান্ডের সূত্র থেকে জানা যায়,কেন্দ্রীয় পেশাজীবী সংগঠনের একজন নেতা হিসেবে কাদের গণি চৌধুরী যেকোনো সময় গ্রীন সিগন্যাল পেতে পারেন।
ফটিকছড়িতে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন যার রয়েছে মাঠে বেশ জনসম্পৃক্ততা।অনুসন্ধানে জানা যায়,সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি এ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন।
এ আসনে একজন কর্মীবান্ধব নেতার নাম হচ্ছে শিল্পপতি সরোওয়ার আলমগীর।জানা যায়,বিএনপি এবং স্থানীয় ভোটারদের বড় একটা অংশ তার সাথে কাজ করছেন।এসব বিবেচনায় গ্রীন সিগন্যাল তিনিও পেতে পারেন।
ফটিকছড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি বৃহত্তম উপজেলা, যা তার বিশাল আয়তন (৭৭৩.৫৫ বর্গ কিমি), রাবার বাগান, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। হারুয়ালছড়ির ফটিকছড়ি ছড়া নামক স্বচ্ছ পানির একটি ঝর্ণা থেকে এর নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। উপজেলাটিতে দুটি পৌরসভা (ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট) এবং ১৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।
এখানকার সচেতন জনগণের একটিই চাওয়া- তারা ভোটের মাধ্যমে একজন সৎ,যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে চায়।যিনি এখানকার প্রধান সমস্যা জলবদ্ধতা সহ সর্বক্ষেত্রে কাজ করা যাবেন।
ফটিকছড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি বৃহত্তম উপজেলা, যা তার বিশাল আয়তন (৭৭৩.৫৫ বর্গ কিমি), রাবার বাগান, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। হারুয়ালছড়ির ফটিকছড়ি ছড়া নামক স্বচ্ছ পানির একটি ঝর্ণা থেকে এর নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। উপজেলাটিতে দুটি পৌরসভা (ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট) এবং ১৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।