চট্টগ্রামে-১ এ ধানের শীষের কান্ডারী হতে চান ৫ প্রার্থী;আলোচনায় মহিউদ্দিন চৌধুরী
ফজলুল হক জয় ||
চট্টগ্রাম-১(মিরসরাই) আসনে তুমুল আলোচনায় আছেন ক্লিফটন গ্রুপের ডাইরেক্টর ও সি ই ইউ এবং বিজিএমইএ এর পরিচালক মহিউদ্দিন চৌধুরী।জানা গেছে যে কোন সময় তিনি বিএনপির দলীয় মনোনয়নের সবুজ সংকেত পেতে পারেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা কে কেন্দ্র করে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ হাতে নিয়েছে বিএনপি। জানা গেছে,খুব শিগগিরই সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেয়া হবে।
দুটি পৌরসভা ও ১৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে মিরসরাই উপজেলা গঠিত।অসংখ্য দর্শনীয় স্থানে ঘেরা মিরসরাই উপজেলা সম্ভাবনাময়ী একটি অর্থনৈতিক জোন হিসেবেও পরিচিত।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামে-১ আসন (মিরসরাই) এর সর্বত্র সরগোল চলছে কে হতে যাচ্ছেন আগামী দিনের ধানের শীষের কান্ডারী। এ আসন থেকে ১৯৯৬ সালে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সাংসদ নির্বাচিত হন তারপর ২০০১ সালেও বিএনপি’র প্রার্থী এ আসন থেকে জয় লাভ করেন,এরপর থেকে জোর জবরদস্তি এবং রাতের ভোটে আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে চলে যায়।২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি’র একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে নেমেছেন।আসনটিতে অর্ধ ডজন প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও আদতে ভোটের মাঠে দৌড়াচ্ছেন তিন থেকে চারজন প্রার্থী। এই আসনটিতে বিএনপি মূলত তিনটি গ্রুপে বিভক্ত।
চট্টগ্রামে-১ আসনে একজন আলোচিত ব্যক্তিত্বের নাম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি চিত্তে-বিত্তে একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে শুধু মিরসরাইয়েই নয় পুরো চট্টগ্রামে ব্যাপকভাবে আলোচিত। বিগত একটি নির্বাচনে তার বড় ভাইয়ের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে অভিজ্ঞতার ঝুলিও ভারী করে নিয়েছেন।তৃণমূলের ভোটার, সাধারণ জনগণ, এমনকি বিএনপি’র দলীয় হাইকমান্ডের সাথেও রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ যোগ সূত্র। এ আসন থেকে ধানের শীষকে বিজয় করতে হলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিকল্প নেই।দল-মত নির্বিশেষে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বিশিষ্ট দানবীর খ্যাত ব্যক্তি মহিউদ্দিন চৌধুরীর।নির্বাচনী এক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে উঠে এসেছে এ সকল তথ্য। এ সংক্রান্ত বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,আমি এবং আমার পরিবার সব সময় জনকল্যাণে কাজ করেছি, এখনো করছি,আমৃত্যু করে যাবো।
দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন,জনকল্যাণকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে হলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে অথবা তার পরিবারের কোন সদস্যকে মনোনীত করবেন।
এ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য আরও কাজ করে যাচ্ছেন পেশাজীবি সংগঠনের নেতা ইঞ্জি: ফখরুল আলম।এক সাক্ষাৎকারে ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম বলেন,ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে যদি বাছাই করা হয় তাহলে দলীয় মনোনয়নে আমি প্রথম পজিশনে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
এখানে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোঃ নুরুল আমিন।তিনি বলেন,মীরসরাইয়ের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত দলকে গোছানোর জন্য কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন দল তার এই পরিশ্রমের অবমূল্যায়ন করবেন না।
এখানে বিএনপি’র দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছেন।যার ফলে মিরসরাইয়ের ভোটের মাঠে তিনি অনেকখানি এগিয়ে রয়েছেন।যোগাযোগ করা হলে তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে শতভাগ বিশ্বাস প্রকাশ করেন।
এই আসনটিতে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূর আল আমিন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।সুত্র মতে, তার রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী। কিন্তু সম্প্রতি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তিনি কিছুটা বেকায়দায় পড়েছেন।যোগাযোগ করা হলে নুর আল আমিন চেয়ারম্যান বলেন,ত্যাগ বিবেচনা করা হলে এবার দলীয় মনোনয়ন আমার বাহিরে যাবে না এবং দল আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেবেন ইনশাআল্লাহ।
দলের তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীরা মনে করেন যাচাই-বাছাই পূর্বক সৎ,যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী বাছাই করা না হলে এই আসনটিতে বিএনপি’র বিপর্যয় ঘটতে পারে তাই তারা দলীয় হাই কমান্ডের কাছে একজন যোগ্য প্রার্থী বাছাই করার আবেদন করেছেন।