কুমিল্লা-৪ এ গ্রীন সিগন্যালের অপেক্ষায় বিএনপি’র ৫ প্রার্থী; ত্যাগ বিচারে এগিয়ে আউয়াল খান
ফজলুল হক জয় ||
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত পেতে অপেক্ষা করছেন প্রায় অর্ধ ডজন প্রার্থী। অতীতের ত্যাগ বিবেচনায় সেই অপেক্ষার পালা শেষ হতে পারে কারা নির্যাতিত নেতা এম এ আউয়াল খানের। জানা গেছে বিএনপি নেতা আউয়াল খান দীর্ঘ আন্দোলন,সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি মাঠে ছিলেন যার ফলে তিনি আওয়ামী লীগের রোশনালে পড়েছেন বারবার।
এ আসনে ধানের শী্ষ প্রতীক পেতে প্রায় অর্ধজন সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে কাজ করছেন।এখানে মনোনয়ন পেতে কাজ করে যাচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, তার ছেলে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সী,বিএনপি নেতা এম এ আউয়াল খান,কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি, বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন প্রমুখ।
জানা যায়,দুটি গ্রুপে বিভক্ত দেবীদ্বার উপজেলা বিএনপি।একটি অংশ নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি এবং তার ছেলে ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সি। অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এফএম তারেক মুন্সী।
অনুসন্ধানের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য মতে গ্রুপিং দ্বন্দ্বে দিশেহারা বর্তমান দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেবিদ্বারের অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন এই দুই গ্রুপের যেকোনো একপক্ষকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে দেবিদ্বারে এক দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হতে পারে এমনকি ধানের শীষের ভরাডুবি হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে দলীয় হাইকমান্ডের সবুজ সংকেতের তালিকার শীর্ষস্থান করে নিয়েছেন এম এ আউয়াল খান যাকে দল- মত নির্বিশেষে গ্রুপিং এর ঊর্ধ্বে উঠে সবাই গ্রহণ করবে।নির্বাচন ও মনোনয়ন প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আউয়াল খান বলেন, দলের দুঃসময়ে নিজের জীবন বাজি রেখে লড়েছি, কতবার যে কারাগারে গিয়েছি তার কোন হিসেব নেই। কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে রাখা হয়েছিল, না খাইয়ে রাখা হয়েছিল উল্লেখ করে এম এ আউয়াল খান বলেন,আমার দল আমাকে সুবিবেচনায় রেখে দলীয় মনোনয়ন দিবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
এ প্রসঙ্গে তারেক মুন্সি বলেন,দল যেহেতু আমাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব দিয়েছেন আশা করি দলীয় মনোনয়ন থেকেও আমাকে বঞ্চিত করবেন না। দলীয় গ্রীন সিগন্যালের অপেক্ষায় আছেন তিনিও।
এখানে আরেক জনপ্রিয় প্রার্থীর নাম ব্যারিস্টার রেজভীউল আহসান মুন্সি।জানা গেছে মূলত তিনি তার বাবা মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি’র জন্য কাজ করছেন।দেবিদ্বার বিএনপি’র বড় একটি অংশ মনে করছেন এবারের গ্রীন সিগন্যালও মুন্সী পরিবারই পাবে।
এই আসনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন।গত মাসখানেক ধরে তিনি দেশে এসে বিভিন্ন প্রোগ্রাম সমাবেশে অংশগ্রহণ করে ইতিমধ্যেই বেশ হইচই ফেলে দিয়ে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে জাতীয় নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে দেবিদ্বারের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের একটিই চাওয়া এই আসনে এমন একজন প্রার্থী বাছাই করা হোক যার রয়েছে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা এবং ভোটের মাঠে যার পাল্লা বেশি ভারী।