কুমিল্লা-২ এ বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন সম্ভাবনাময়ী দুই তরুন
ফজলুল হক জয় ||
কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) সংসদীয় আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন সম্ভাবনাময়ী দুই তরুন বিএনপি নেতা।সাবেক এই দুই ছাত্রদল নেতার হয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।এর একজন হচ্ছেন মনোয়ার সরকার অপরজন হচ্ছেন ওমর ফারুক মুন্না। ইতিমধ্যেই এই দুই সাবেক ছাত্রনেতা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।গুঞ্জন রয়েছে ক্লিন ইমেজ এবং তরুণ প্রার্থী বিবেচনায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন এদের যে কেউ।স্থানীয় সূত্র মতে,মনোয়ার সরকার সব সময় অসহায়, নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর পাশে থেকে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কাজ করে আসছেন।যার কারণে হোমনা- তিতাসের সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক একটি অংশ তাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে চান।তাছাড়া দলীয় হাইকমান্ডের সাথেও রয়েছে মনোয়ার সরকারের ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র।সবকিছু বিবেচনায় মনোয়ার সরকার যেকোনো সময় চমক দেখাতে পারেন বলে চাউর রয়েছে । এক সাক্ষাৎকারে মনোয়ার সরকার বলেন,স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমি বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ছিলাম।তারপরও দলের হয়ে সব সময় মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন,দলীয় মনোনয়ন আমি পেলে কুমিল্লা-২ আসনের মানুষ সবচেয়ে বেশি খুশি হবে।
কুমিল্লা-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন ওমর ফারুক মুন্নাও।মুন্নার অতীত রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে তিনি সবসময় দলীয় ব্যানারে রাজপথের একজন নিয়মিত সৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন।ইতিমধ্যেই মুন্না তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হোমনা এবং তিতাস উপজেলায় দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।এক সাক্ষাৎকারে ওমর ফারুক মুন্না বলেন, জনগণের সেবা করার জন্যই জনপ্রতিনিধি হতে চাই।দলের জন্য সব সময় জীবন দিতেও প্রস্তুত। দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন এবং নমিনেশন প্রদান করেন বিপুল ভোটে এই আসনটি দলকে উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য,কুমিল্লা-২ আসনে মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন প্রায় অর্ধ ডজনের উপরে প্রার্থী। স্থানীয় জরিপ মতে,মনোয়ার সরকার এবং ওমর ফারুক মুন্না ইতিমধ্যেই হেভিওয়েট প্রার্থীদের অন্যতম প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তবে দল কাকে মনোনীত করবেন সেটা একান্তই দলের ব্যাপার এবং এই আসন থেকে বিএনপি’র চূড়ান্ত প্রার্থী কে হচ্ছেন তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কয়েকটি দিন।