৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি| সকাল ১০:৪৬| বসন্তকাল|

সিত্রাং তান্ডবে পেঁপে চাষির ৫ লক্ষাধিক টাকার পেঁপে বাগান লন্ডভন্ড

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৫, ২০২২,
  • 206 Time View

নিউজকাস্ট ডেস্ক।।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর বয়ে যাওয়া বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর তান্ডবে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন এর কালাকচুয়া এলাকার প্রবাসী যুবকের শখের পেঁপে বাগানের প্রায় তিন শতাধিক ফলজ পরিপক্ব গাছ ভেঙ্গে পেঁপে বাগান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

স্থানীয় জাকির হোসেন ও ক্ষতিগ্রস্থ চাষি মোঃ মহসিন কবির ও তার প্রবাস ফেরত জাতিজা মেহেদী হাসান জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে সারারাত বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডব লিলায় ৫৪শতাংশ জমিতে চাষ করা ৫ লক্ষাধিক টাকার পেঁপে গাছ ভেঙ্গে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও জানান গত ৬-৭ মাস পূর্বে মোঃ মহসিন কবির ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন এর ঢাকলাপাড়া এলাকায় ৫৪ শতাংশ জমিতে পেঁপে গাছ লাগিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে পেঁপে গাছে প্রচুর পেঁপে আসে এবং পরিপক্ব হতে শুরু করেছে। এছাড়া প্রতিদিন বাজারে তুলে পেঁপে এবং স্থানীয় ভাবে ও বাজারে বিক্রি শুরু করেন। আশার আলো দেখছিলেন মেহেদী ও মহসিন স্বাবলম্বী হওয়ার। এর মধ্যে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে কপাল পুড়ল তাদের। পেঁপে চাষি মহসিন কবির মঙ্গলবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখেন তার সমস্ত জমির পেঁপে গাছ ভেঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। এতে তার ৫ থেকে ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

অপরদিকে পুরো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ভয়াবহ তান্ডব চলেছে। সন্ধ্যায় কুমিল্লা – বুড়িচং – মীরপুর সড়কের বুড়িচং খাড়াতাইয়া, মহিষমারা ইছাপুরা সহ কয়েক টি স্থানে সড়কে গাছ ভেঙ্গে পড়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। স্থানীয় লোকজন এর সহায়তায় সড়ক থেকে এসমস্ত গাছ সরিয়ে নিয়ে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবু তাহের জানান ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে ইউনিয়ন এর মাওরা, কন্ঠনগর, গোবিনাথপুর, শ্রীপুর বিভিন্ন এলাকায় ১০/১২ টি ঘর ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও ২ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ভেঙ্গে পড়ে। তবে কোন প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি। ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান এডভোকেট ইস্কান্দার আলী ভূইয়া আমির জানান কিছু গাছ পালা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। গোমতী নদীর চরে ও ফসলি জমিতে চাষ করা শাক সবজির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। মোকাম ইউপির সদস্য মোঃ জাকির হোসেন ও সচিব মোঃ লিয়াকত আলী জানান কিছু গাছ পালা এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতি সাধিত হয়েছে বিভিন্ন শাক সবজির যা আগামী কয়েক মাসেও পুষিয়ে উঠতে পরবে না কৃষকরা । তবে গাছ পড়ে ২-৩ টি ঘরের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হাসেম মাষ্টার জানান তার ইউনিয়নে ব্যাপক গাছ পালা ভেঙ্গেছে এবং ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামে ৬০-৭০ টি টিনেট ঘর ভেঙ্গেছে। ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়েছে তবে কোন প্রাণহানী বা আহত হওয়ার খবর নেই। বাকশীমূল ইউনিয়নের দশ হেক্টর ফসলি জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ঘর ও মুরগীর ফার্ম আনুমানিক প্রায় ৩০-৪০ টি ভেঙ্গে ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান লিটন রেজা চৌধুরী। বুড়িচং সদর ইউপির বিভিন্ন এলাকায় গাছ পালা ক্ষতি হয়েছে এবং ৫-৬ টি টিনের ঘর ভাঙ্গার খবর পাওয়া গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category