২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি| দুপুর ১:০৩| বর্ষাকাল|
শিরোনাম:
পি.আর. পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সম্ভাবনা বিপন্ন- ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী যানজট নিরসনে ‘মানবিক কুমিল্লা’র আবু-ওয়াসিমের উদ্যোগ  মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ, প্রকৃতপক্ষে বাস্তবে যা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এ ক্লিন ইমেজের প্রার্থী আলী আজ্জম জালাল নরসিংদী-২ এ বিএনপি’র দুই প্রার্থী মাঠে; ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে এড. বাসেদ দেবিদ্বারে ব্যারিস্টার রেজভিউল মুন্সী’র উদ্যোগে শহীদ ছাব্বিরের বাড়ির সড়ক সংস্কার বিজেএমই নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত ড. হোসাইনী ফেনীতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থদের জন্য গরু কোরবানি কর্নেল আজিম একজন আধ্যাত্মিক নেতা ছিলেন-ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী কালির বাজার উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি গঠন

সহপাঠী ও প্রক্টরকে দায়ী করে জবি ছাত্রীর আত্মহত্য

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, মার্চ ১৬, ২০২৪,
  • 147 Time View

কুমিল্লা থেকে ফজলুল হক জয় ও নেকবর হোসেন।।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার এক বাসায় আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে।

আত্মহত্যার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অবন্তিকা তার মৃত্যুর জন্য তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।
কুমিল্লা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জোবায়ের অবন্তিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রাত সোয়া ১১টায় স্বজনরা অবন্তিকাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তারা যখন অবন্তিকাকে নিয়ে আসে, তখন তার দেহ নিথর ছিল। তার গলায় দাগ ছিল। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

কুমিল্লার কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনেছি, সদর হাসপাতালে আমার টিম রয়েছে, বিস্তারিত জেনে আপনাদের জানাব।’
আত্মহত্যার আগে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে লেখা ফেসবুক পোস্টটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট (সহপাঠী) আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী (সমর্থনদাতা) জগন্নাথের (বিশ্ববিদ্যালয়ের) সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন ও অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখত, সেবিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। দ্বীন ইসলাম আম্মানের হয়ে আমাকে নানাভাবে ভয় দেখায়, আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি, এখানে কোনো জাস্টিস পাব না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতামও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট (যৌন নিপীড়নমূলক মন্তব্য) করায় আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেওয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনও আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্টদের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায়, সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাতবার প্রক্টর অফিসে ডেকে নেয়। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া, আর সে কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিল না। আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার ওপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এত ভালোবাসে যে মানুষ, সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না, কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয়নি মারা গেছেন, আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজারটা আমাকে এটাই বলছিল, আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তা-ও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category