নিউজকাস্ট ডেস্ক।।
বাজারে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০০ টাকা। গত কয়েকদিন ধরে খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকায়। এর আগে দেশের বাজারে কখনো ব্রয়লার মুরগির দাম এতো বাড়েনি।
এমতাবস্থায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার প্রোটিন যোগানদানকারী এই ব্রয়লার মুরগি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির মতো বাড়তি দেখা গেছে গরুর মাংসের দাম। বেশিরভাগ বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকায় মিলতো।
সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মতো। সেগুনবাগিচা ও মালিবাগ বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায়। বাজারে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
খাসির মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১১শ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়।
গত এক মাসে দেশি মুরগির দামে অবশ্য বড় কোনো পার্থক্য নেই। তবে ডিমের দাম বাড়তি। প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।
সবজির দামেও গত সপ্তাহের তুলনায় পার্থক্য দেখা গেছে। আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। শসা প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, করলা ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা, কেজিপ্রতি মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৯০-১০০ টাকা ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। লেবুর হালি ২০-৩০ টাকা।
পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। কমেছে রসুনের দাম। বড় রসুনের কেজি ২০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বড় রসুনের কেজি ছিল ২২০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।
কমেছে আদার দাম। কেজিতে ৬০ টাকা কমে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে আদার কেজি ছিল ৩০০ টাকা।