নিজস্ব প্রতিবেদন।।
গত কয়েকদিন পূর্বে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে বৃত্তি পেয়েছিলেন ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী।উচ্ছ্বাস বিরাজ করছিল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। কিন্তু হঠাৎ করেই কারিগরি ত্রুটি দেখিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেন। তারপরই দেখা দেয় বিপত্তি।তখন থেকেই শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।
এর কয়েক ঘন্টা পরেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নতুন করে সংশোধিত ফলাফল ঘোষণা করেন যাতে দেখা যায় পূর্বে বৃত্তিপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষার্থী নতুন তালিকায় বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হন। এতে ক্ষোভে পেটে পড়েন সুশীল সমাজ, শিক্ষার্থী অভিভাবক সহ অনেকেই। অনেকের মতে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর মাধ্যমে নিজের অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মো. মেহেদি হাসান তার মেয়ের ফলাফলের কষ্টের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে লিখেন,
“‘আমার মেয়ে এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলায় ট্যালেন্টপুলে (মেধাতালিকা) বৃত্তি পায়। কিন্তু সংশোধিত ফলাফলে সাধারণ গ্রেডেও তার নাম নেই। আমার মেয়েটা শুধু কান্না করছে। কচি মনে মেয়েটা মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। এখন আর সে পড়াশোনা করতে চাচ্ছে না। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের এ ধরনের খামখেয়ালিপনা মেনে নেওয়া যায় না।’ — প্রাথমিক বৃত্তির সংশোধিত ফলাফল প্রকাশের পর এক বাবার অভিব্যক্তি। ফল প্রস্তুতিতে ভুল হয়ে গেছে। এটা অনিচ্ছাকৃত ধরে নিলাম। এটাতো শিশুদের একটা পরীক্ষার ফল। যে পরীক্ষার পক্ষে অনেকে ছিলেন না। ঘোষিত ফলটা বাতিল না করে, সংশোধিত অংশের নতুনদের জায়গা করে দেওয়া যেতো। তাতে হাজার কোটি টাকা লাগতো না। কিন্তু নিরপরাধ শিশুগুলো নরকতুল্য কষ্টের মুখোমুখি হতো না।”
কারিগরি ত্রুটির কারণ দেখিয়ে বহু শিক্ষার্থীর কচি মন নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ছিনিমিনি খেলেছেন বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা