১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| বিকাল ৪:১৯| গ্রীষ্মকাল|
শিরোনাম:
অযাথা সময় নষ্ট না করে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করুন-ভিপি ওয়াসিম গভীর সংকটের মুখোমুখি দেশ: নির্বাচন প্রশ্নে চলছে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত- অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া শশীদল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পুণর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত। শশীদল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পুণর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত। মনোহরগঞ্জে ৪ বছরের নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টা কুমিল্লায় দুই শতাধিক সুবিধা বঞ্চিত মাঝে একতাই শক্তি’র ঈদ উপহার কুমিল্লায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ্যাব এর শ্রদ্ধা নিবেদন কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এ্যাব এর দোয়া ও ইফতার মাহফিল কুমিল্লা জেলা কওমি মাদ্রাসা সংগঠন বুড়িচং উপজেলা শাখার কমিটি পুনর্গঠন কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল

পরকীয়া দেখে ফেলায় দুই শিশু খুন,রায় শোনার পর আদালতে অজ্ঞান আসামিরা

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩,
  • 143 Time View

নিউজ ডেস্কঃ

কুমিল্লায় দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরকীয়া দেখে ফেলায় এক শিশু খুন এবং খুন দেখে ফেলায় অপর শিশুকে জবাই করা হয়। এদিকে রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন দণ্ডপ্রাপ্তরা।
মৃত্যুদ- দেয়া হয় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে (২৮)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৪৩)। দণ্ডপ্রাপ্তরা সম্পর্কে চাচি শাশুড়ি এবং ভাতিজা বউ।
পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন। দ-প্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মো. বাবুল হোসেনের স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টাখেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাতকে (৬) খুন করেন। খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষণ পর শাহ আলমের ছেলে জসিমকেও (৭) ছুরি দিয়ে জবাই করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিনকে পুলিশে সোর্পদ করে। ওই হত্যাকা-ের প্রধান আসামিকে সহযোগিতা করে মামলার আরেক নারী মাজেদা। ঘটনার পর মাজেদা আত্মগোপনে চলে যান। গত বছর র‌্যাব-১১ তাকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ওই বছরের ২১ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১ নম্বর এবং মাজেদা বেগমকে ২ নম্বর ও অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে আরাফাতের পিতা হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category