নিউজ ডেস্কঃ
কুমিল্লায় দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরকীয়া দেখে ফেলায় এক শিশু খুন এবং খুন দেখে ফেলায় অপর শিশুকে জবাই করা হয়। এদিকে রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন দণ্ডপ্রাপ্তরা।
মৃত্যুদ- দেয়া হয় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে (২৮)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৪৩)। দণ্ডপ্রাপ্তরা সম্পর্কে চাচি শাশুড়ি এবং ভাতিজা বউ।
পুলিশ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন। দ-প্রাপ্তদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মো. বাবুল হোসেনের স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টাখেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাতকে (৬) খুন করেন। খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষণ পর শাহ আলমের ছেলে জসিমকেও (৭) ছুরি দিয়ে জবাই করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিনকে পুলিশে সোর্পদ করে। ওই হত্যাকা-ের প্রধান আসামিকে সহযোগিতা করে মামলার আরেক নারী মাজেদা। ঘটনার পর মাজেদা আত্মগোপনে চলে যান। গত বছর র্যাব-১১ তাকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ওই বছরের ২১ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১ নম্বর এবং মাজেদা বেগমকে ২ নম্বর ও অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে আরাফাতের পিতা হত্যা মামলা দায়ের করেন।