১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| সকাল ৯:১৪| হেমন্তকাল|
শিরোনাম:
কুমিল্লায় কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ কুমিল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে নগদ অর্থ ও কৃষি প্রণোদনা বিতরণ বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় খণ্ড-বিখন্ড ৭ অটো রিকশা যাত্রী;আহত ২ কুমিল্লায় সদর দক্ষিণের ইউএনও’র সাথে মোতায়াল্লী সমিতির মত বিনিময় বরুড়ায় UNO’র সাথে মোতায়াল্লী সমিতির মত বিনিময় মনোহরগঞ্জের মৈশাতুয়ায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান হবে- নাঙ্গলকোটে শিক্ষক সমাবেশে সেলিম ভূঁইয়া কুমিল্লায় জিয়া গবেষণা পরিষদ মহানগর শাখার উদ্যোগে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করুন-অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা ছিলেন সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে-বরকত উল্লাহ বুলু

দেবীদ্বার উপজেলার ৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪,
  • 96 Time View

ফজলুল হক জয় ও নেকবর হোসেন।।

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষকশূন্যতায় এসব বিদ্যালয় অনেকটাই অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকরাই এ পদে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। দ্রুত এ সমস্যা নিরসন প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবাই। উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক।

জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে ভারপাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র শিক্ষকরা। এতে স্কুল পরিচালনা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পালন শেষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা, ফলে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম।

দেবীদ্বার পৌরসভার ১৪০নং বিজুলীপাঞ্জার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ৭ মার্চ ২০২৩ সালে এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হলে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার সহকারী শিক্ষক পদ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ায় স্কুলের কার্যক্রমে চাপ বেড়েছে।

রাজামেহার ইউনিয়নের ৮৬নং রাজামেহার পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহিন সুলতানা জানান ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরুন নাহার শারীরিক অসুস্থ হলে তার দায়িত্বটা তিনি গ্রহণ করেন, এতে তার সহকারী শিক্ষক থেকে সরে আসায় ছাত্রছাত্রীর পাঠদান ব্যাহাত হচ্ছে। এছাড়াও স্কুলের অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে সমস্যা ভোগ করতে হয় বাকি শিক্ষকরা, তাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধান চান তিনি। উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ১১২নং উত্তর মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ২০১৯ সালে অসুস্থ হয়ে অবসরে গেলে এ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন রোমানা আক্তার। পাঁচ বছর ধরে তিনি এ স্কুলের একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে, এতে স্কুলের পাঠদানে যেমন সমস্যা হচ্ছে তেমনি কাজের চাপও সামলাতে হয় এ শিক্ষক। তাই এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত নিরসন চান তিনি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম বলেন, পদোন্নতির মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়ে থাকে। জেলার কয়েকটি উপজেলার নথি মন্ত্রণালয়ে জমা আছে, সেখান থেকে অনুমোদন হলে এ সমস্যা কেটে যাবে।

এদিকে, আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন জানান, যে সব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই তার তালিকা প্রাথমিক গণশিক্ষা অধিদপ্তরের পাঠানো হয়েছে এবং শিক্ষক পদোন্নতির নিয়োগের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category