ডেস্ক নিউজ।।
“নির্বাচন ভদ্রলোকের জন্য নয়।যেদিকে যাই শুধু সবাই টাকা চায়। পোস্টার করতে টাকা, ব্যানার করতে টাকা, শুধু টাকা আর টাকা।বাজারে গেলে সবাই ধরে আমাদেরকে খাওয়ান, আপনি প্রার্থী হয়েছেন।এত টাকা খরচ করে লাভ কি? কাউন্সিলর হলে কত টাকা ইনকাম হবে?আমি অত পয়সাওয়ালানা,আমার দ্বারা এত টাকা খরচ করা সম্ভব হবে না! ” -কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর নির্বাচনের ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জামাল খাঁন।
প্রতিবেদককে তিনি আরও জানান,তার আসলে নির্বাচন করার কোন ইচ্ছে ছিল না।এ ধরনের পূর্ব অভিজ্ঞতাও নেই। কিছু লোক তাকে জোর করে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে।ইতিমধ্যেই তিনি দুই থেকে তিন লাখ টাকা খরচ করে ফেলেছেন।এখন বেকায়দায় আছেন। না পারছেন থাকতে না পারছেন সরতে।জামাল বলেন,আমাদের দ্বারা দুর্নীতি করা সম্ভব হবে না,তাই আমরা এত টাকা খরচও করতে পারবো না।
জনপ্রতিনিধি হতে হলে আপনাকে অর্থ ব্যয় করতে হবে,আপনার কাছে অনেকে অনেক কিছু চাইবে,আপনার কাছে আসবে!- এমন কথার জবাবে তিনি বলেন,আমার এসব ঝামেলা ভালো লাগেনা, নির্বাচনে নেমেই ফেঁসে গেছি মনে হচ্ছে।নির্বাচনের মাঠে তিনি নিজেকে একজন সৎ প্রার্থী বলেও দাবি করেন নিজেকে।
দেবিদ্বার পৌর নির্বাচনের ৯টি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়,অন্তত দুই ডজন প্রার্থী রয়েছেন যারা নিজেকে গরিব বলে দাবি করছেন।এদের মধ্যে ফল ব্যবসায়ী, বিদেশ ফেরত,কেজি স্কুলের শিক্ষক,বেকার সহ রয়েছেন অনেক স্বল্প আয়ের মানুষ।খবর নিয়ে জানা যায় তাদের অধিকাংশই নিজের পরিবারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খায়।নির্বাচনের মাঠে আসার কারণ জানতে চাইলে,এদের অনেকেই বলেন,জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা দীর্ঘদিন থেকেই লালন করছেন মনে এবং সে থেকেই নির্বাচনে আসা।
পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মোশারফ ভূঁইয়ার কাছে এক তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবেন কিনা জানতে চাইলে নিউজকাস্ট২৪-কে তিনি জানান,অনেকে গুজব রটাচ্ছে তবে তা অসত্য। তিনি বলেন,”আমি গরিব, অত টাকা পয়সা নেই। দীর্ঘদিন বিদেশ করে এসেছি। আমি এসব ওসি, ডিসি, পুলিশ,সাংবাদিক, নিউজ বুঝি টুঝি না, আমি বুঝি জনগণ।”