বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে।যেখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একাধিক বার্তায় কমিটি গঠনের বিষয়ে সুস্পষ্ট ও কঠোর নির্দেশনা রয়েছে সেখানে এমন নির্দেশনা উপেক্ষা করে টাকার বিনিময়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১৪ নং সুলতানপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে খোদ আহ্বায়ক পদ সহ একাধিক পদে আওয়ামী লীগের কর্মীকে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়,গেল বছর ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ দেবিদ্বার উপজেলার ১৪ নং সুলতানপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দিন এবং সদস্য সচিব কাজী মাসুদ হাসান স্বাক্ষরিত একটি নির্দিষ্ট প্যাডে উপজেলার ১৪ নং সুলতানপুর ইউনিয়ন বিএনপির উক্ত আহ্বায়ক কমিটিতে মো: কাউছার ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।যে কমিটিতে খোদ আহ্বায়ক পদ সহ একাধিক সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সাথে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় অনেক নেতাকর্মী জানান,কমিটিতে আহ্বায়ক পদে স্থান পাওয়া কাউছার ভূঁইয়া ছিলেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল মুন্সী ও তার ছেলে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রাজি ফখরুলের ঘনিষ্ঠ সহচর।তাছাড়া উক্ত কমিটির ৫ নং যুগ্ন আহবায়ক তাজুল ইসলামও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ধরনের কমিটি গঠনকে নিয়ে জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপি’র এক সাবেক নেতা বলেন,বিএনপি’র একটা গ্রুপ ৫ আগস্টের পর সক্রিয় হয়ে একের পর এক এই উপজেলা বিএনপিকে দুর্বল করতে উঠে পড়ে লেগেছে।তিনি অভিযোগ করে বলেন, সারা জীবন যারা বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই উপজেলায় কাজ করেছে তারা এখন উপেক্ষিত।এমনটি চলতে থাকলে আগামী সংসদ নির্বাচনে তীব্রভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।অনতিবিলম্বে এ ধরনের অনিয়মকে চিহ্নিত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বিএনপি’র হাই কমান্ডের কাছে এসবের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় নেয়ার জোর দাবী জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে,বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, এটা খুব নিন্দনীয় একটি কাজ।এ ধরনের রিপোর্ট আমাদের কাছেও আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মো: গিয়াস উদ্দিন জানান,কমিটি গঠনের সময় বিষয়টি আমরা জানতাম না।আমার জানা মত কাউছার বিএনপির একজন নির্যাতিত নেতা।কমিটি গঠনের পর এখন নানান দিক থেকে নানান অভিযোগ আসছে।ঘটনা সত্য হলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।