নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা মাসিক সাধারণ সভা চলাকালে হামলা চালিয়েছে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। এ সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ আহমেদ, বলরামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সাতানী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ কয়েকজনকে কিলঘুসি মারে। সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ডসহ সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১১টায় শুরু হওয়া মাসিক সভাটি হামলার কারনে পন্ড হয়ে যায়। ওই মারধরে ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ধারণকৃত সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় তিতাস উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা শুরু হওয়ার পর সভা চলাকালে বেশ কিছু বহিরাগত লোকজন সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পূর্বে সভাস্থল থেকে একজনকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বের হতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই বহিরাগতরা সভা কক্ষে প্রবেশ করে হৈ হুল্লোর শুরু হয়। এসময় তৈরি হয় হট্টগোল, শুরু হয় হাতাহাতি, কিল ঘুষি। এর ফলে সভাটি পণ্ড হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে কুমিল্লার মুরাদনগর-তিতাস সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, মোবাইল ফোনে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে না। অফিসে আসলে কথা বলবো। এর আগে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ ঊর্ধ্বতনদের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিতাস উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারহাদ হোসেন বলেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার বেলা ১১টার দিকে তিতাস উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা চলছি। এসময় কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার হোসেন বাবু, তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান তুষারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন বহিরাগত সভাস্থলে ঢুকে সবাইকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এসময় ব্যাপক হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তারা উপস্থিত সবাইকে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
কেন হামলা করা হলো? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কারো সাথে কোনো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা পূর্ব বিরোধ নয়; তারা মূলত নিজেদের আধিপত্যের বিষয়টি জাহির করতেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।