কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির চার প্রার্থী মাঠে;বড় ফ্যাক্টর হতে পারেন সাইদুর রহমান লিটন
ফজলুল হক জয় ||
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে বড় ফ্যাক্টর হতে পারেন বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান লিটন।
১৫ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত দেবিদ্বার উপজেলা।ইতিহাস ঐতিহ্যসহ নানা কারণে সবসময় আলোচনায় থাকেন এই উপজেলাটি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও বর্তমানে আলোচনায় দেবিদ্বার উপজেলা। কে হতে যাচ্ছেন আগামী দিনে এই আসন থেকে ধানের শিষের কান্ডারী এমন সরগল চলছে উপজেলার সর্বত্র। এখানে বিএনপি মূলত দুইটি গ্রুপে বিভক্ত।
মাঠ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে দেবিদ্বারে বিএনপি ও নানা অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী থাকলেও ভোটের মাঠে কয়েক গুণ এগিয়ে আছেন এখানকার সাবেক ৪ বারের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। বিএনপি’র বড় একটি অংশ তার ছেলে ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সির নেতৃত্বে কাজ করছেন সাবেক এই সাংসদের জন্য।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা কে কেন্দ্র করে সারা দেশের ন্যায় দেবিদ্বারেও উত্তাপ ছড়াচ্ছেন রাজনীতিবিদরা।তবে কে হতে যাচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থী-এমন প্রশ্ন এখন দেবিদ্বারের সবার মুখে মুখে। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশিদের তালিকায় এ পর্যন্ত নাম লিখিয়েছেন সাবেক ৪ বারের এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, তার ছেলে ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সী এবং উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এফএম তারেক মুন্সী।এখানে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন বেলজিয়াম বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান লিটন।দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে বিএনপিকে সংগঠিত করে বর্তমানে দেবিদ্বারে সরে জমিনে কাজ করে যাচ্ছেন বিএনপি’র এই নেতা। এমন পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলছেন অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের।
স্থানীয় সূত্র মতে জানা যায়, সাইদুর রহমান লিটন দেবিদ্বারে একজন পরোপকারী,ভদ্র,নম্র এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দল-মত নির্বিশেষে ভোট পেয়ে তিনি বড় ধরনের একটা ফ্যাক্টর হতে পারেন।
বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী এবং সমর্থকগণ মনে করেন সাইদুর রহমান লিটন দেবিদ্বারে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলে দল-মত এবং গ্রুপিংয়ের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ তাকে ভোট প্রদান করবেন।কারণ,দাঙ্গা, হাঙ্গামা,কমিটি বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, দখল বাজি,ক্যাডার বাহিনী ইত্যাদি নেতিবাচক শব্দের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা চোখে পড়ে নি।মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও বিভিন্ন অংকে ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকবেন এই সাইদুর রহমান লিটন চাউর রয়েছে এমন কথা।
এক সাক্ষাৎকারে সাইদুর রহমান লিটন বলেন,প্রবাসে থেকে বিএনপি’র পক্ষে সংগঠনকে মজবুত করার জন্য সব সময় কাজ করেছি।দেশে এসে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন ভোটারদের থেকে খুব ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি ইনশাআল্লাহ সামনে ভালো কিছু হবে বলে আশা করছি।
নির্বাচন এবং মনোনয়ন প্রসঙ্গে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার রেজভিউল আহসান মুন্সী বলেন তার বাবা ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি চারবার এই আসনে সাংসদ হয়ে মানুষকে সেবা দিয়েছেন যা আজ অব্দি মানুষ মনে রেখেছে। তিনি বলেন, দেবিদ্বারের প্রতিটি মানুষ আগামী সংসদ নির্বাচনে তার বিকল্প কাউকে দেখতে চায় না।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি বলেন, ইতিমধ্যেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করেছি এবং করছি।দলের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাইলে দেবিদ্বারের সাধারণ অনেক ভোটার ও বিএনপি’র সমর্থকগণ একজন সৎ,যোগ্য,নির্ভেজাল জনপ্রতিনিধি কামনা করছেন। এমতাবস্থায় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে তারা দলীয় হাইকমান্ডের কাছে একজন ক্লিন ইমেজের প্রার্থী প্রত্যাশা করছেন।