নেকবর হোসেন||
কুমিলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি যুবক কামালের (৩৩) লাশ ভারতের এনসি নগর কোম্পানি কমান্ডার সুনীল কুমার বিজিবি-পুলিশের নিকট লাশটি তার পরিবারের নিকট ২৬ ঘন্টা পর হস্তান্তর করে।
নিহত যুবক কামাল হোসেন (৩৩) সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পাহাড়পুর সীমান্তে গেলে ভারতীয় বিএসএফ তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে সে মৃত্যু বরণ করে।
নিহত কামাল হোসেন সদর দক্ষিণ উপজেলার জোলাই কুড়িয়াপাড়া গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে।
নিহতের বড় ভাই হিরন মিয়া লাশ দেখে জানান, আমার ভাই ঘুমে ছিলো। লাদেন কামাল বাড়ির ভিতর আইসা ২ বার ডাকি নিয়ে গেছ। ৮ টার দিকে শুনছি আমার ভাইরে বিএসএফ গুলি করে মারছে। আমার ভাই অন্যায় করলে পুকিশে দিত! এভাবে মারতেতো পারেনা! আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা পরে বিএসএফ ভারতীয় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কামালের মরদেহ নিয়ে যায়। যশপুর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে মরদেহ আনার বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারা এখন আমাদের নিকট লাশ বুঝিয়ে দেয়।
নিহতের ফুফাতো বোন খোরশেদা জানান, আমার ভাইকে যারা সিমান্তে নিছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হোক।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই দিলীপ কুমার মজুমদার বলেন, লাশ আমরা গ্রহন করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি। তারা বলেছল দ্রুত সময়ে লাশ দাফন করে ফেলবে।
কুমিল্লার ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত সিইউ মেজর আরাফাত বলেন, পুলিশ লাশ গ্রহণ করে। বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। পরবর্তীকালে এমন ঘটনা ঘটবেনা।যদি করে আমরা বিজিবিও সমচিন জাবাব দিতে প্রস্তুত।গুলিতেই সে নিহত হন। তারা হত্যা না করে আমাদের নিকট তাকে ধরিয়ে দিতে পারতো। এ হত্যাটি কোনভাবেই কাম্য হয়নি।