নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় ‘ঈগল গ্রুপ’ ও ‘রতন গ্রুপ’ নামে দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের সশস্ত্র মহড়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এরই মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রত্যক্ষ জড়িত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার, ১০টি ধারালো অস্ত্র ও ৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।আজ শনিবার সকালে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘কুমিল্লা জেলায় ১৫ থেকে ২০টি কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। ৭ থেকে ২০ জন সদস্য নিয়ে তৈরি হয় এক একটি গ্যাং। খেলা কিংবা এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিস্তারের চেষ্টা করে এসব গ্যাংগুলো। গত শুক্রবার বিকেলেও কুমিল্লার সার্কিট হাউজ মোড়ে ঈগল ও রতন নামে দুটি গ্যাংয়ের প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া জনমনে আতঙ্ক তৈরী করে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশফাকুজ্জামান, নাজমুল হাসান, কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন, কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ দীনেশ বড়ুয়াসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।গ্রেফতারকৃত কিশোর গ্যাং সদস্য হলেন
১.মোঃ ফজর আলী ছেলে মো: শাওন হোসেন (২০),২. মমিন হায়দার ছেলে সাইমন আহমেদ(১৮), ৩. মো: শাওন হোসেন (২২), পিতা-আব্দুল মোতালেব, সাং
৪.মোঃ বাদল হোসেন (২১), পিতা- মোঃ লিটন হোসেন,
৫.প্রমিজ সরকার শান্ত (১৮), পিতা-জীবন সরকার,
৬.মো: মেহেদী হাসান সিয়াম(১৮), পিতা-আব্দুল্লাহ,
৭.মো: সাকিব(১৮), পিতা-আবুল হোসেন, ৮., মো: ফাহিম হোসেন(১৯), পিতা-আ: মতিন,
৯.মো: আরিফ হোসেন(১৯), পিতা-দুলাল মিয়া ১০. সামবীর (১৯), পিতা-মাসুদুর রহমান বাবুল, ১১. আকিব হোসেন (১৯), পিতা-সেলিম,
১২.মোঃ ফরহাদুজ্জামান পিয়াস (২০), পিতা-মৃত আবুল কাশেম,
১৩.আশরাফুল ইসলাম নিলয় (২০), পিতা-জামাল মিয়া,
১৪.মোঃ কাইয়ুম হোসেন @ শাফি (১৮), পিতা- মৃত মোহাম্মদ আলী,১৫.আতিকুর রহমান (১৯), পিতা- আরজু মিয়া,
১৬বর্ষণ রায় জয়(১৮), পিতা- বিমল রায় সর্ব থানা-কোতয়ালী মডেল,জেলা-কুমিল্লা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন জানান, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সাধারণত ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সী। স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে অভিভাবকদের নজরের আড়ালে গিয়ে আড্ডা থেকে শুরু হয় গ্যাং তৈরী। আধিপত্য বিস্তারের মহড়ায় তাদের হাতে দেখা যায় দেশে বানানো ধারালো অস্ত্র ও ককটেল।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মোট ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রশ্রয়দাতা কারা তাদের খুঁজে বের করতেও কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।