২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি| দুপুর ১২:৪৯| বর্ষাকাল|
শিরোনাম:
পি.আর. পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সম্ভাবনা বিপন্ন- ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী যানজট নিরসনে ‘মানবিক কুমিল্লা’র আবু-ওয়াসিমের উদ্যোগ  মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের অভিযোগ, প্রকৃতপক্ষে বাস্তবে যা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এ ক্লিন ইমেজের প্রার্থী আলী আজ্জম জালাল নরসিংদী-২ এ বিএনপি’র দুই প্রার্থী মাঠে; ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে এড. বাসেদ দেবিদ্বারে ব্যারিস্টার রেজভিউল মুন্সী’র উদ্যোগে শহীদ ছাব্বিরের বাড়ির সড়ক সংস্কার বিজেএমই নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত ড. হোসাইনী ফেনীতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থদের জন্য গরু কোরবানি কর্নেল আজিম একজন আধ্যাত্মিক নেতা ছিলেন-ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী কালির বাজার উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি গঠন

কুমিল্লায় আসন্ন রমজানকে ঘিরে নিত্যপন্যের বাজারে আগুন; ভোক্তারা প্রতারিত

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩,
  • 160 Time View

দেবব্রত পাল বাপ্পী, লাকসাম।।

আসন্ন রমজান মাস ঘিরে কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, লালমাই, বরুড়া, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাটে-বাজার জুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের পাইকারী ও খুচরা দামে বড় তফাৎ এবং বিভিন্ন পন্যের বাজারে আগুন পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত নানাহ পন্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।

নানান অজুহাতে ওইসব অসাধূ ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে সকল পেশার মানুষ ওইসব ব্যবসায়ীদের হাতে হচ্ছেন প্রতারিত। বার বার ভ্রাম্যমান আদালত ওইসব ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব কমাতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক সংস্থার লোকজন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বিগত আড়াই বছর যাবত মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের আয় নেই বললেই চলে। ফলে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ভূমিকা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ। হাটবাজার গুলোতে চাল. ডাল, চিনি, গরম মসল্লা, ভৌজ্যতৈল, সবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে বাজার মনিটরিং এর কোন বিকল্প নেই এবং স্থানীয় প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালত কঠোর ভাবে জোরদার করা উচিৎ ছিলো। সেটা কিন্তু হয়নি। বরং আমাদের অল্প আয়ের টাকার মধ্য থেকে বড় অংশই বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য কিনতে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। স্থানীয় প্রশাসনের দেউলিয়াত্মকে পূজি করে স্থানীয় মজুতদার ব্যবসায়ীরা সু-কৌশলে লাগামহীন ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়াচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম। অথচ এ ব্যাপারে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। বিশেষ করে সরকারের ভ্রান্তনীতি ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর কে সামনে রেখে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গরম মসল্লা, ভৌজ্য তৈল ও গ্রীস্মকালীন সবজি পণ্যের বাজার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
জেলা দক্ষিনাঞ্চলের একাধিক ভোক্তভোগী জানায়, পাইকারী আড়তে বিভিন্ন পন্যের দামের বিপরীতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পন্যের দাম ১৫/২০ টাকা বেশি। কোন কোন ক্ষেত্রে আরো ৫/১০ টাকা বেশী দাম দিয়ে প্রয়োজনীয় পন্য কিনতে হয় ক্রেতাদের। নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের প্রত্যেকটির কেজি ১০/১৫ টাকা পার্থক্য রয়েছে। মৌসুমী ফল, কাঁচা সবজি, ও গরম মশল্লার বাজার অনেকটা সাধারন মানষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। নতুন নতুন সবজি ৮০/৯০ টাকার নীচে কোন তরকারী পাওয়া যায় না। অথচ দেশের বিভিন্ন জেলায় কাঁচামালে মোকাম কিংবা উৎপাদনস্থানে দাম তার অর্ধেক। চাল, ডাল, আটা, ময়দা, ভৌজ্যতৈল, সিম, করলা, বেগুন, পটল, মৌসুমী ফল-ফলাদি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, হোটেল রেস্তরা সহ অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন শবজির সংকট সৃষ্টি করে আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম বাড়ার অশুভ প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিভিন্ন সেন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।
সূত্রগুলো আরো জানায়, গতকাল শুক্রবার মুসুর ডালের পাইকারী বাজার ছিল ১১০/১১৫ টাকা খুচরা ১৩০/১৪০ টাকা। ভোজ্য তেল বিভিন্ন ব্যান্ডের কেজিতে ৪০/৫০ টাকা বেড়েছে। লাকসাম,নাঙ্গলকোট ও বরুড়া পৌর শহরের বাহিরে বিভিন্ন পন্যের মূল্য পাইকারী দামের চাইতে খুচরা বাজারে কোন কোন পন্যে প্রতি কেজি ৪০/৫০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। চাউল, চিনি ও ভৌজ্য তৈলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের পাইকারী ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে আগের মতই ২০/৩০ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য রয়েছে। ক্রেতাদের কাছে এটা অস্বাভাবিক হলেও দোকানদাররা রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। বিভিন্ন পন্যের বাজারে প্রতি কেজি সর্বচ্চো ২/৫ টাকা পর্যন্ত কম বেশি হতে পারে। কিন্তু হাটে-বাজারে প্রচুর মালামালের সরবরাহ থাকা স্বত্তে¡ও পন্যের বাজারমূল্যে স্থানীয় বিভিন্ন পন্য সেন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাত বদল ও কমিশন বানিজ্যের কারনে ক্রেতাদের প্রতারিত করে ফায়দা লুটে নিচ্ছে ওইসব ব্যবসায়ীরা। গরম মসল্লার বাজারেও আগুন, মুদি মালামালে কোন অজুহাত ছাড়াই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মূল্য। মাছ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে থাকলেও মুরগী, গরু, খাসির মাংস ক্রয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। এছাড়া ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তো আছেই।
ভোক্তাভোগী নার্গিস বেগম বলেন, আমরা নি¤œবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছি। আসন্ন রমজান মাসকে ঘিরে আমি মুদি দোকানে সদাই করতে এসেছি, তেল, মসল্লাসহ বিভিন্ন জিনিসগুলো যে ভাবে বাড়ছে ক্রয় করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। সরকারে কাছে অনুরোধ আমরা সকলে যাতে রমজান মাসে জিনিস পত্র ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এ ব্যাপারে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা মতিন জানান, নিত্যপন্যে সহনীয় রাখার চেষ্টা করব।
এ ব্যাপারে লাকসাম বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পিন্টু সাহা বলেন, আসন্ন রমজান মাস ঘিরে নিত্যপন্যের জিনিসগুলো যাতে ব্যবসায়ীরা না বাড়াতে পারে সে বিষয়ে আমাদের কমিটির লোকজন ও প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে দোকানদারকে বলে দিব। কিছুদিনের মধ্যে বনিক সমিতির লোকজনকে নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান মালিকদের সাথে দেখা করব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category