২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ১১ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি| সন্ধ্যা ৭:০৯| গ্রীষ্মকাল|
শিরোনাম:
বিজেএমই নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত ড. হোসাইনী ফেনীতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থদের জন্য গরু কোরবানি কর্নেল আজিম একজন আধ্যাত্মিক নেতা ছিলেন-ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী কালির বাজার উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি’র কমিটি গঠন ফেনীতে মাদকের বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ায় যুবককে কুপিয়ে জখম অযাথা সময় নষ্ট না করে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করুন-ভিপি ওয়াসিম গভীর সংকটের মুখোমুখি দেশ: নির্বাচন প্রশ্নে চলছে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত- অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া শশীদল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পুণর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত। শশীদল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পুণর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত। মনোহরগঞ্জে ৪ বছরের নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টা

ইসলামে সন্দেহ গর্হিত কাজ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ডিসেম্বর ২, ২০২২,
  • 157 Time View

অযথা কাউকে সন্দেহ করা চরম মূর্খতার লক্ষণ।নিরপরাধ ব্যক্তিকে সন্দেহ করার কারণে একজন ব্যক্তির আমল নষ্ট হয় এবং সেই সাথে সন্দেহকারী ভীকটিমের মনের অভিশাপে আল্লাহ প্রদত্ত যেকোনো বিপদের সম্মুখীনও হতে পারেন।

এজন্য একজন একজন জ্ঞানী ব্যক্তির কাজ হচ্ছে সাক্ষ্য প্রমাণ এবং দলিলের ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা।

কারো কথা শোনা মাত্রই অন্যের বিষয়ে সন্দেহ করা বা মন্দ ধারণা এক গর্হিত বিষয়। যাচাই না করে সন্দেহ করা বা অহেতুক মন্দ ধারণা করার কারণে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। সমাজের একতা ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধন ভেঙ্গে পড়ে।তাই, হাদিস শরীফে কারো ব্যাপারে মন্দ ধারণা করা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘শেষ যুগে কিছুসংখ্যক মিথ্যাবাদী দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। তারা তোমাদের কাছে এমন সব অলীক কথাবার্তা উপস্থিত করবে, যা না তোমরা শুনেছ, না তোমাদের বাপ-দাদা শুনেছে। সাবধান! তোমরা তাদের থেকে বেঁচে থাকো এবং তাদের তোমাদের থেকে বাঁচাও। অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকো, যাতে তোমাদের পথভ্রষ্ট করতে না পারে এবং তোমাদের বিপথগামী করতে না পারে।’ (মুসলিম, মিশকাত, হাদিস : ১৫৪)

উদ্ভট ধারণা নিয়ে চলা, মানুষকে অহেতুক সন্দেহ করা নিন্দনীয় কাজ। পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয় কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাকো। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)

তাই অনুমান করে কাউকে সন্দেহ করা জঘন্যতম অন্যায়।

কেউ কি ফিরিয়ে আনতে পারবে বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তুবার মাকে? দুনিয়ার সব কিছু দিয়েও তো তার মায়ের অভাব পূরণ করা সম্ভব হবে না। তাই কিছু শুনলেই তা যাচাই না করে ছড়িয়ে দেয়া উচিত নয়। কখনো কখনো এর জন্য চরম মূল্য দিতে হয় গোটা জাতিকে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সব শোনা কথা প্রচার ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯২)

স্রেফ সন্দেহের ভিত্তিতে তাছলিমা বেগম রেনুকে হত্যার পর জাতি লজ্জিত। কিন্তু এমন জঘন্য কাজ কেন করব, যার জন্য লজ্জিত হতে হয়? কেউ ছিনতাইয়ের কবলে পড়লে আমরা তাকে উদ্ধার না করেই উল্টো পথে পালাতে থাকি, আর ভিত্তিহীন কথা বিশ্বাস করে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ফেলি। এ কেমন মানবতা?

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের কাছে যদি কোনো ফাসেক ব্যক্তি কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তাহলে তা যাচাই করো। অজ্ঞতাবশত কোনো গোষ্ঠীকে আক্রান্ত করার আগেই, (না হলে) তোমরা কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে।’ (সূরা: হুজুরাত, আয়াত: ৬)

অনর্থক কাজে আত্মনিয়োগ করা, না জেনে শুধু শুধু নিরপরাধ মানুষের ওপর অপবাদ দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। হজরত ওবাদা ইবনু সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী (সা.)-কে ঘিরে একদল সাহাবি বসে ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি তাঁদের উদ্দেশ করে বললেন, আমার হাতে এ কথার বাইয়াত গ্রহণ করো যে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার (জিনা) করবে না, নিজেদের সন্তানাদি (অভাবের দরুন) হত্যা করবে না। কারো প্রতি (জিনার) মিথ্যা অপবাদ দেবে না। শরিয়তসম্মত কোনো বিষয়ে অবাধ্য হবে না।

তোমাদের মধ্যে যারা এসব অঙ্গীকার পূর্ণ করতে পারবে, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে পুরস্কার রয়েছে। অন্যদিকে যে লোক (শিরক ব্যতীত) অন্য কোনো অপরাধ করবে এবং এ জন্য দুনিয়ায় শাস্তি পেয়ে যাবে তাহলে এই শাস্তি তার গুনাহ মাফ হওয়ার কাফফারা হয়ে যাবে। আর যদি কোনো গুনাহর কাজ করে, অথচ আল্লাহ তা ঢেকে রাখেন (বা ধরা না পড়ে), এ জন্য দুনিয়ায় এর কোনো বিচার না হয়ে থাকে, তাহলে এই কাজ আল্লাহর মর্জির ওপর নির্ভর করবে। তিনি ইচ্ছা করলে আখিরাতে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন অথবা শাস্তিও দিতে পারেন। বর্ণনাকারী (ওবায়দা) বলেন, আমরা এসব শর্তানুযায়ী নবী (সা.)-এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করলাম। (বুখারি, হাদিস : ১৮)ক

তাই আসুন আমরা সম্পর্কের প্রতি যত্নবান হই।অযথা সন্দেহের কারণে কোন প্রিয়জনকে দূরে ঠেলে না দেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category